স্বদেশ ডেস্ক:
স্নিগ্ধ ভোর, তপ্ত দুপুর, এমনকি বৃষ্টি বিকেলেও পারফিউমের ব্যবহার অপরিহার্য। দিন-রাতের কর্মব্যস্ততা আর ছোটাছুটিতে নিজেকে সতেজ রাখতে পারফিউমের বিকল্প নেই। তা ছাড়াও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে সারাদিন ফুরফুরে থাকার ভরসা এই পারফিউমই। কিন্তু দিনের অর্ধেক যেতে না যেতেই পারফিউমের ঘ্রাণ মিলিয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করতে কিছু নিয়ম ও টিপস মেনে চলুন। এতে অল্প পারফিউম ব্যবহারেও সারা দিন থাকবেন সুরভিত ও প্রাণবন্ত।
পারফিউম ব্যবহারের কিছু নিয়ম :
*জায়গা বুঝে পারফিউম নির্বাচন করুন। কোথাও যাওয়ার আগে বুঝে নিন সেখানে কেমন পারফিউম ব্যবহার করা ভালো।
*বদ্ধ স্থানে হালকা ধরনের পারফিউম এবং খোলা স্থানে কড়া পারফিউম ব্যবহার করতে পারেন;
*অতিরিক্ত পারফিউম ব্যবহার করবেন না। এর ঘ্রাণে অন্য কারও সমস্যা হতে পারে। এমনকি সে অসুস্থও হতে পারে।
*আপানার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে পারফিউম ব্যবহার করুণ। আগে জানুন আপনার কোন ঘ্রাণ পছন্দ। মিষ্টি অথবা ফুলেল কোনো কিছু অথবা তীব্র ও ঝাঁঝালো কিছু,যাই হোক না কেন নিজের কথা চিন্তা করে নির্বাচন করুন।
*যে ব্র্যান্ডের পারফিউম আপনার পছন্দ সেটাই কিনুন। অন্যের পছন্দের ব্র্যান্ড না কেনাই ভালো;
*যে পারফিউমের ঘ্রাণ অন্যের গায়ে ভালো লাগছে তা আপনার গায়ে ভালো নাও লাগতে পারে। তাই পারফিউম কেনার আগে নিজের ত্বকের ওপর পরীক্ষা করে দেখে নিন।
*পারফিউম কোথায় ব্যবহার করবেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘ্রাণ পেতে চাইলে হাতের কবজি, কানের পিছনে এবং গলায় দিতে পারেন। তাহলে ঘ্রাণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে।
*কর্মস্থলে খুব বেশি তীব্র ঝাঁঝের পারফিউম ব্যবহার না করাই ভালো। অন্য সহকর্মীরা বিরক্ত হতে পারে।
*অনেকই ঘামের মধ্যে পারফিউম ব্যবহার করে। এতে উৎকট গন্ধ তৈরি হয়। অন্যদের কষ্টের কারণ হয়।
*কাপড়ে পারফিউম ব্যবহার করবেন না। এতে কাপরের সুতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে;
*শরীরে পারফিউম অনেকক্ষণ স্থায়ী হয়।
*পারফিউম ব্যবহার না করে রেখে দিলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। পুরোনো পারফিউম ব্যবহার করে লোকজনের সামনে না যাওয়াই ভালো।
পারফিউম ব্যবহারের কিছু টিপস :
* পারফিউম বাছাইয়ের সহজ সূত্র হলো, পোশাক অনুযায়ী পারফিউম ব্যবহার করুন। হালকা পোশাকে স্নিগ্ধ ঘ্রাণ। আর জমকালো পোশাকে একটু কড়া ঘ্রাণ ব্যবহার করতে পারেন।
* গোসলের সময় লোমকূপ খুলে যায়। এ কারণে গোসলের পরপরই পারফিউম ব্যবহার করা হলে লোমকূপ সুগন্ধ অনেকাংশেই টেনে নেয়। পারফিউমের কারণে অনেকক্ষণ ধরে থেকে যায়।
* ত্বকের ধরনভেদে সুগন্ধির স্থায়িত্ব বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন-তৈলাক্ত ত্বকে সুগন্ধি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়। আর শুষ্ক ত্বকে তাড়াতাড়ি চলে যায়।
* ত্বক থেকে চুলে পারফিউমের ঘ্রাণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়। ভালো ফল পেতে চিরুনিতে সুগন্ধি স্প্রে করে পুরো চুল একবার আচড়ে নিন।
* যেকোনো গয়না পরার আগে পারফিউম ব্যবহার করুন। অন্যথায় গয়নার রঙ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
* শুষ্ক এবং ঠান্ডা জায়গায় পারফিউম সংরক্ষণ করুন। অবশ্যই সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখুন।
*গরমের জন্য উপযুক্ত হালকা ও দীর্ঘস্থায়ী পারফিউম। ফ্রেশ ফ্রুটি, আইস কুল, ল্যাভেন্ডার, গোলাপ পারফিউম ব্যবহার করা যেতে পারে। স্পাইসি ও উড কালেকশন বেছে নিতে পারেন বৃষ্টির সময়টাতে। কিছু কিছু পারফিউম নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা হয় রাত ও দিনের জন্য।